মোঃ রমজান হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ নওগাঁ জেলার মিনি কক্সবাজার বলে খ্যাত হাঁসাইগাড়ী বিল। এর সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন বিকেলে দেখা যায় হাজারও মানুষের ভিড়। সব বয়সের নারী-পুরুষ এবং সব পেশার মানুষের উপস্থিতিতে হাঁসাইগাড়ী বিলের পাশের রাস্তাটি হয়ে ওঠে মুখরিত। ইতোমধ্যে এই বিলের অবারিত রুপালি জলের ধারা বিনোদনপ্রিয় মানুষের কাছে আকর্ষণীয় স্পট হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
নওগাঁ ছাড়াও আশপাশের রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দলে দলে দর্শনার্থী এখানে আসেন। জেলার সদর উপজেলার হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়নে এই বিলের অবস্থান।
হাঁসাইগাড়ী বিলকে দুই ভাগ করে নির্মিত হয়েছে নওগাঁ জেলা সদর থেকে হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়নের কাটখইড় পর্যন্ত পাকা সড়ক। এই সড়ক নির্মাণের পর থেকেই হাঁসাইগাড়ী বিলের অবারিত সৌন্দর্য মানুষের দৃষ্টিগোচর হয়। জেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে এই বিলের অবস্থান। শহরের গোস্তহাটির মোড় থেকে বিভিন্ন যানবাহনে করে বিলে যাওয়া যায়।
পুরো বর্ষা মৌসুমে প্রতি বিকেল দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত থাকে এই সড়কটি। এখানে এসে শুধু দাঁড়িয়ে রুপালি জলের অবারিত সৌন্দর্য উপভোগ করাই নয়, ব্যবস্থা রয়েছে নৌ-ভ্রমণেরও। চুক্তিভিত্তিক নৌকায় চড়ে বিলে ঘুরে বেড়ানো ভ্রমণপিপাসুদের বাড়তি আনন্দ যুক্ত হয়। এলাকার শতাধিক মানুষ নৌকা বেয়ে প্রতিদিন ভালো আয় করে থাকেন। তারা প্রতি ঘণ্টা নৌকার ভাড়া নিয়ে থাকেন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। বিক্রি হয় পদ্মফুল, পদ্মখোঁচা। এভাবে অনেক পরিবারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির নেতৃত্বে ইমাম-নোমান
দুপুরের পর বিভিন্ন দিক থেকে ভ্রমণপিপাসুদের গন্তব্যের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে হাঁসাইগাড়ী বিল। বিকেল হতে না হতেই বিলপাড়ের এই রাস্তাটি হয়ে ওঠে লোকে লোকারণ্য। বর্ষাকালজুড়ে চোখে পড়ে এমন দৃশ্য। বর্ষা শেষে এখানকার চিত্র পুরোটাই পাল্টে যায়। বোরো ধানের আবাদে সবুজ হয়ে ওঠে। সেই সবুজ ক্রমেই সোনালি ধানের খেতে রূপান্তরিত হয়। হেমন্তের সেই আরেক সৌন্দর্য।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম রবিন শীষ জানান, হাঁসাইগাড়ী বিলের অবারিত সৌন্দর্য খুবই আকর্ষণীয়। এখানে দর্শনার্থীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে আরও কীভাবে পর্যটকদের আকৃষ্ট করা যায়, সে ব্যাপারে প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে।