spot_img

― Advertisement ―

spot_img

খুবির ভর্তি পরীক্ষা নিজস্ব পদ্ধতিতে, তারিখ নিয়ে সিদ্ধান্ত এই সপ্তাহে

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সময় ও তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবারও তারা নিজস্ব পদ্ধতিতেই ভর্তি পরীক্ষা...
প্রচ্ছদজাতীয়খাগড়াছড়ি-গুইমারায় সহিংসতা: ইউপিডিএফের প্ররোচনায় অস্থিতিশীলতা

খাগড়াছড়ি-গুইমারায় সহিংসতা: ইউপিডিএফের প্ররোচনায় অস্থিতিশীলতা

নিউজ ডেস্ক: খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় গত ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় সেনাবাহিনী এক বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইউপিডিএফ (মূল) ও এর অঙ্গসংগঠনসমূহ পরিকল্পিতভাবে পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে দাঙ্গা উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে সেনাবাহিনী ধৈর্য ও সংযমের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বড় ধরনের সংঘর্ষ প্রতিহত করেছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে মোটরসাইকেল চালক মামুন হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউপিডিএফ অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করে। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। ওই ঘটনার এক বছর পূর্তিতে ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনগুলো এ বছরও বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে সহিংসতা উস্কে দেওয়ার চেষ্টা চালায়।

সেনাবাহিনীর তথ্যমতে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে শয়ন শীল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর প্রতিবাদে ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ, মানববন্ধন এবং হরতাল ডাকে। পরে সামাজিক মাধ্যমে দেশি-বিদেশি ব্লগাররা বাঙালিদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক প্রচারণা চালায়।

২৬ সেপ্টেম্বর অবরোধ চলাকালে ইউপিডিএফ কর্মীদের উসকানিতে সেনা টহল দলের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়, এতে তিন সেনা সদস্য আহত হন। তবে সেনাবাহিনী বল প্রয়োগ না করে ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

২৭ সেপ্টেম্বর সহিংসতা তীব্র আকার ধারণ করে। খাগড়াছড়ি পৌর এলাকায় গুলি, ভাঙচুর, অ্যাম্বুলেন্সে হামলা এবং রাস্তা অবরোধের ঘটনা ঘটে। দুপুর নাগাদ পরিস্থিতি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় রূপ নিলে প্রশাসন খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় ১৪৪ ধারা জারি করে। সারারাত সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

আরও পড়ুনঃ রামগঞ্জে প্রেম করে বিয়ের অপরাধে ধর্ষণ মামলা, প্রেমিক জেল হাজতে

২৮ সেপ্টেম্বর সকালে গুইমারার রামসু বাজার এলাকায় ইউপিডিএফ কর্মীরা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আবারও সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় দেশীয় অস্ত্র, ইটপাটকেল ও গুলতি নিয়ে তারা সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালায়। এতে তিনজন কর্মকর্তা সহ অন্তত ১০ সেনা সদস্য আহত হন। একইসঙ্গে বিজিবির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে পাহাড় থেকে ইউপিডিএফ সশস্ত্র সদস্যরা অটোমেটিক অস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ করে, আনুমানিক ১০০–১৫০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইউপিডিএফ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে নাশকতা চালাচ্ছে এবং নারী ও স্কুলগামী শিশুদের জোরপূর্বক এসব কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করছে। আজ বিকেলে কাপ্তাইয়ে বিজিবির চেকপোস্টে যাত্রীবাহী বাস থেকে বিপুল দেশীয় অস্ত্রও জব্দ করা হয়েছে।

সেনাবাহিনী মনে করছে, ১৯ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিক ঘটনাগুলো একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ। তারা সকল রাজনৈতিক দল, স্থানীয় নেতা ও সাধারণ জনগণকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থিতিশীলতা ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।