
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন (বিইউপিএ) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিরুদ্ধে অপসারণ প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংগঠনটি বলছে, জনপ্রতিনিধিদের বদলে প্রশাসক নিয়োগ একটি আত্মঘাতী উদ্যোগ হবে, যা দেশের গ্রামীণ এলাকাগুলোর জনগণের সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।
সম্প্রতি প্রিন্ট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ৪৫৮০টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৩১৬৪ জন চেয়ারম্যান এখনও দায়িত্ব পালন করছেন। তবে বাকি চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিতি কিংবা গ্রেপ্তারজনিত কারণে তাদের পরিষদ সেবা কার্যক্রমে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। এসব অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে আন্দোলন বিরোধী কার্যকলাপে সম্পৃক্ততা এবং মামলায় জড়িয়ে যাওয়ার ঘটনাকে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিইউপিএ’র নেতৃবৃন্দ মনে করেন, কিছু চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির জন্য সকল চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা যুক্তিযুক্ত নয়। এতে করে অনুপস্থিত চেয়ারম্যানদের জন্য দায়িত্বশীল চেয়ারম্যানদের সাংবিধানিক অধিকার হরণ করা হবে। বরং, অনুপস্থিত চেয়ারম্যানদের বদলে প্যানেল চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমে পরিষদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া উচিত।
আরও পড়ুনঃ রাজশাহী কলেজ ক্যাম্পাস পরিষ্কার অভিযানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা
সংগঠনটি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যকে সরকারের সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করা উচিত এবং তাদের মেয়াদকালীন সময় পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেওয়া উচিত। তারা মনে করে, জনপ্রতিনিধিদের পরিবর্তে প্রশাসক দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করা কার্যত অসম্ভব এবং তা গ্রামীণ জনগণের সেবা প্রাপ্তির সুযোগ কমিয়ে দেবে।
বিইউপিএ সরকারের সংস্কার উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেছে, তারা দুর্নীতিমুক্ত একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণে সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অপসারণ না করে, অনুপস্থিত জনপ্রতিনিধিদের সমস্যা সমাধানে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলে বিইউপিএ মত প্রকাশ করেছে।