নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার পি.এইচ. আমিন একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তীর উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) ফখরুল ইসলামের দিকে।
প্রধান শিক্ষক এ কে এম নেওয়াজ জানান, “বিভাগীয় কমিশনারের পিএস ফখরুল ইসলাম আমাকে রৌশন আখতারের নাম ১ নম্বরে প্রস্তাবিত হিসেবে রাখতে বলেন। আমি সেই নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তাব জমা দিয়েছি।” রৌশন আখতার, যিনি পূর্বে এই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন, তার বিরুদ্ধে টাইম স্কেলের সুবিধা নিয়ে অনিয়মসহ দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী একটি টাইম স্কেল প্রাপ্য হলেও তিনি দুটি নিয়েছেন এবং তৃতীয়টির জন্য তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন, রৌশন আখতার সভাপতি পদে আসলে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ধ্বংস হয়ে যাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক বলেছেন, “রৌশন আখতার বিদ্যালয়ের অর্থ এবং প্রশাসনিক কাজের ক্ষেত্রে অতীতে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার ক্ষমতা এবং পিএস ছেলের প্রভাবের কারণে তিনি এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।”
রৌশন আখতারের বিরুদ্ধে ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ আড়াই হাজার টাকা অতিরিক্ত গ্রহণের তথ্য উঠে এসেছে। এ বিষয়ে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রৌশন আখতারের ছেলে র,হ,ম আলাওয়াল কবির তথ্য উপদেষ্টা নাহিদের পিএস। তার প্রভাব ব্যবহার করে রৌশন আখতার নিয়ম বহির্ভূতভাবে টাইম স্কেলসহ নানা সুবিধা গ্রহণ করেছেন।
আরও পড়ুনঃ হালুয়াঘাটে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির ফ্রি চক্ষু মেডিক্যাল ক্যাম্প
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি গঠনে নীতিমালা অনুযায়ী, নির্বাচন আয়োজনের অন্তত ৮০ দিন আগে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ এবং সংশোধনের সুযোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক। স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং এলাকায় মাইকিংয়ের ব্যবস্থাও রাখতে হয়। কিন্তু পি.এইচ. আমিন একাডেমিতে এসব প্রক্রিয়া সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় অভিভাবক মহল ও সচেতন শিক্ষার্থী সমাজ বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি থেকে অযোগ্য এবং দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিদের বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের মানোন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ম্যানেজিং কমিটিতে যোগ্য এবং সৎ নেতৃত্ব প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।