spot_img

― Advertisement ―

spot_img

আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখলের চেষ্টা, চন্দনাইশে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দক্ষিণ জোয়ারা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখলের প্রস্তুতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায়...
প্রচ্ছদসারা বাংলা৪৮ঘণ্টার মধ্যে এটিএম আজহারকে মুক্তি দিতে হবে– হামিদুর রহমান আযাদ

৪৮ঘণ্টার মধ্যে এটিএম আজহারকে মুক্তি দিতে হবে– হামিদুর রহমান আযাদ

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, “আজকে গোটা বাংলাদেশের মানুষ ফুঁসে উঠেছে। আমরা বন্দিশালার তালা ভাঙতে চাই না, তবে আমাদের বাধ্য করবেন না। বিগত ১৫ বছর আমাদের রক্ত ঝরেছে, কারাবরণ ও ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হয়েছে। বিরোধী দল দমন করার জন্য গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। জামায়াতকে আদর্শিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছিল। যে সাজানো মামলা ও ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে এটিএম আজহারকে বন্দি রাখা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

১৮ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত ঐতিহাসিক লালদীঘির মাঠে অনুষ্ঠিত এক বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার জন্য অসংখ্যবার কারাবরণ করেছেন এটিএম আজহার। তিনি ১৩ বছরের অধিক সময় ধরে কারাগারে বন্দি। এভাবে ফ্যাসিবাদী শাসনের অধীনে তিনি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ৫ আগস্ট ছাত্রজনতা রক্ত দিয়েছে ন্যায়বিচারের জন্য। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জননেতা এটিএম আজহারকে মুক্তি দিতে হবে।”

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক আহছানুল্লাহ ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য। জাফর সাদেক, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য। অধ্যক্ষ মাওলানা আমিরুজ্জামান। অধ্যাপক নুরুল আমিন চৌধুরী। আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর। আলা উদ্দিন সিকদার, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের আমীর। ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ও মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীর। অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারি
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, আবদুল জব্বার, অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, মুহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, ডা. এ কে এম ফজলুল হক, এস এম লুৎফর রহমান, তানজির হোসেন জুয়েল, ইব্রাহিম হোসেন রনি প্রমুখ।

সমাবেশে প্রধান অতিথি বলেন, “২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর এটিএম আজহারকে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বাসায় ফেরার পথে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ২০১২ সালে জামিন পেলেও আওয়ামী সরকার তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মিথ্যা মামলায় পুনরায় গ্রেপ্তার করে। তিনি সম্পূর্ণ নিরপরাধ। তাকে ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পরও এখনো পর্যন্ত এটিএম আজহার মুক্তি পাননি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

আরও পড়ুনঃ নালিতাবাড়িতে দুই দিনব্যাপী তথ্য মেলা

তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিচারিক কার্যক্রম ছিল বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রত্যাখ্যাত। এটিএম আজহারকে বন্দি রাখা তার প্রতি চরম জুলুম। দেশের মানুষ এখন স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ চায়।”

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মহানগরী জামায়াতের আমীর আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেন, “স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের বিচারিক কার্যক্রম বিশ্বজুড়ে বিতর্কিত। এটিএম আজহারকে কারাগারে আটক রাখা চরম অন্যায় ও অবিচার। আমরা অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে। পলাতক খুনি শেখ হাসিনা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিচার করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “দেশের মানুষ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হতে চায় না। এটিএম আজহারকে মুক্তি না দিলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।”

সমাবেশ শেষে জামায়াতে ইসলামী এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে, যা লালদীঘি থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরাতন রেল স্টেশনে গিয়ে শেষ হয়।