মাহিদুল ইসলাম ফরহাদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে ট্রেন অবরোধ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন জেলার সর্বস্তরের মানুষ। ‘সুজন–সুশাসনের জন্য নাগরিক’ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।
বুধবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. খায়রুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন সুজনের সদস্য আবির।
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ট্রেন আন্দোলনের উদ্যোক্তা মো. মনোয়ার হোসেন জুয়েল। তিনি বলেন, “চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সরাসরি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা আমাদের ন্যায্য দাবি। রেললাইন থাকলেও এই জেলার মানুষ আন্তঃনগর ট্রেন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আমাদের আট দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।”
মানববন্ধন ও অবরোধ কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোখলেসুর রহমান, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ, সাবেক কাউন্সিলর শাহনেওয়াজ খান সিনহা, জামায়াতের আমীর গোলাম রব্বানী, পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ধনজয় চ্যাটার্জি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের আহ্বায়ক আব্দুর রহিম, সুজনের জেলা সহ-সভাপতি মো. মাসিদুর রহমান, জেলা প্রচার সম্পাদক মুনিরুল ইসলাম মুনির, সদর উপজেলা সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী আসাদ, সাধারণ সম্পাদক জারিফ হোসেন এবং যুগ্ম সম্পাদক সেলিম হোসেনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সুজনের পৌর সভাপতি মো. জমশেদ আলী স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “সরকার চাইলে এই জেলাকে আন্তঃনগর রেল যোগাযোগে সংযুক্ত করা সম্ভব। আমরা শুধু দাবি জানাচ্ছি, কোনো সংঘাত চাই না।”
আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যুতে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, শিক্ষক আটক
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই জেলা রেললাইনের আওতায় থাকলেও আন্তঃনগর ট্রেন না থাকায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। অবিলম্বে আন্তঃনগর ট্রেন চালুর জন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অবশেষে রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. ওবায়দুল হক আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দাবি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানোর আশ্বাস দেন। তার আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা ট্রেন অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেন।
এই কর্মসূচিতে চেম্বারের পরিচালক ও সুজনের পৌর সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলামসহ জেলার নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।