
তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সংসদকে নিয়ে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুকন উদ্দিনেের মিথ্যাচারমূলক মন্তব্যের প্রতিবাদে প্রেস বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনটি। রোকন উদ্দিন তার বক্তব্যের মধ্যে দাবি করেন যে বিগত ১৬ বছর ছাত্র ইউনিয়নের কেউ প্রকাশ্যে বলেনি যে ‘আমি ছাত্র ইউনিয়ন করি।’
এ মন্তব্যের প্রতিবাদে শুক্রবার (১৬মে) বেলা সাড়ে ১২টায় সংগঠনটির ফেইসবুক পেইজে এ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে শাখা সভাপতি মাহামুদুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক নূর আলম বলেন ‘ গতকাল ১৫ ই মে ইবি ছাত্রদলের কর্মসূচির একটি বক্তব্য দৃষ্টিগোচর হয়েছে, সেখানে ইবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রোকন উদ্দিন তার বক্তব্যের মধ্যে দাবি করেন যে বিগত ১৬ বছর ছাত্র ইউনিয়নের কেউ প্রকাশ্যে বলেনি যে ‘আমি ছাত্র ইউনিয়ন করি। একই সাথে ছাত্র ইউনিয়নকে গুপ্ত সংগঠনের সাথে তুলনা করেছেন তিনি। এটি চরম মিথ্যাচার। তার এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ছাত্র ইউনিয়নকে নিয়ে এমন বক্তব্য কোন ভাবে গ্রহণযোগ্য নয়, বিগত ১৬ বছর ছাত্র ইউনিয়ন ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে গেছে। ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত বিগত ৭৩ বছর কোন দিন গুপ্তভাবে কাজ করেনি। বিশেষ করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই আন্দোলনের মূল কারিগর ছিল ইবি ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।
তারা আরও বলেন ‘ ছাত্রদল নেতারা বলেছেন যে সাম্য হত্যার পরে তো আর কাউকে বলতে শুনিনা যে, রাজুতে চলে এসে প্রতিবাদ করতে। অথচ সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদ মশাল মিছিল করেছে এবং ভিসি, প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি করেছে। তাই বলতে চাই, এ ধরনের দায়িত্বহীন বক্তব্য কেবল ইতিহাস বিকৃতিই করে না, বরং চলমান ছাত্র রাজনীতিতে বিভাজন তৈরি করে, সক্রিয় ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে ঐক্য বিনষ্ট করে। তাই অতিদ্রুত তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।
আরও পড়ুনঃ গ্রাম থেকে শহরে, বিজ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে অন্বয় দেবনাথ ও ‘সায়েন্স বী’র গল্প
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকাল ৫টার সময় ইবি ছাত্রদল কতৃক ‘ঢাবি ছাত্র ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য’র হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং নিরাপদ শিক্ষা অঙ্গনের দাবিতে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে শাখা যুগ্ম আহ্বায়ক রুকন উদ্দিন বলেন ‘যারা ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট সরকারে চোখে চোখ রেখে রাজনীতি করেছে, খুন হয়েছে, গুম হয়েছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? একদিনও তো শুনিনি আপনারা বলেছেন ‘আমরা ছাত্র ইউনিয়ন করি, আমরা ছাত্র মৈত্রী করি বা আমরা শিবির করি। এরই প্রতিবাদে প্রেস বিবৃতি দেয় তারা।