spot_img

― Advertisement ―

spot_img

আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখলের চেষ্টা, চন্দনাইশে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দক্ষিণ জোয়ারা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখলের প্রস্তুতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায়...
প্রচ্ছদসারা বাংলাচট্টগ্রামনগরীর দক্ষিণ বাকলিয়া ১৯নং ওয়ার্ড পশ্চিমপাড়ার খালের বেহাল দশা,দেখার কেউ নেই

নগরীর দক্ষিণ বাকলিয়া ১৯নং ওয়ার্ড পশ্চিমপাড়ার খালের বেহাল দশা,দেখার কেউ নেই

চট্টগ্রাম নগরীর জনবহুল গনবসতীপূর্ন এলাকা দক্ষিণ বাকলিয়া ১৯নং ওয়ার্ড চর চাক্তাই নতুন মজসিদ সংলগ্ন ইসমাইল ফয়েজ রোড, পশ্চিমপাড়ার খালটি ময়লা আবর্জনার বাগারে পরিনত হয়েছে।

খালের উভয় পাশের সড়ক ও রিটার্নিং ওয়ালের উন্নয়ন সাধিত হলেও চাক্তাই’র শাখা খালগুলো এখনো সম্পূর্ণ অবহেলিত। 

প্রসঙ্গত চর-চাক্তাই একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা।খালের উভয় পাশে প্রায়‌ ৬০হাজার মানুষের বসতি। 

নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় তম্বিয়া সেতুসংলগ্ন এই খালে দুপাশে রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণ করার সময় যে‌ গর্ত খনন করা হয়েছিল নির্মাণ পরবর্তী মাটিগুলো আর দুপাশ হতে সরানো হয়নি।

আরও পড়ুনঃ মানবেতর জীবন,নুন আনতে পান্তা ফুরায় হাতপাখা বিক্রেতাদের

ফলে সামান্য বৃষ্টি, জোয়ারের পানিতে বর্তমানে সেতুটির দুই পাশেই ময়লা আবর্জনা ফুলেফেঁপে উঠে এলাকায় ঢুকে পরে ময়লা পানির সাথে। যার কারণে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ ও দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ এলাকার বাসিন্দারা।

এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চার হাজার মানুষ চলাচল করে। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও অফিস আদালতগামী পথচারীরা।

বর্জ্যের উৎকট গন্ধের কারণে চলাচলের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকেই।মশা,মাছি ও বিষাক্ত কীটপতঙ্গ সহ ডেঙু, পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আতংকে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সুনির্দিষ্ট ডাস্টবিন এবং বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থাপনা না থাকায় নিরুপায় হয়ে খালেই মানুষ দৈনিক গৃহস্থালির আবর্জনা ফেলে সহজেই খাল ভরাট করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, ‘এই খালটি মাস্টার প্লানের আওতায় রয়েছে একথা শুনেছি আজ প্রায় ৩বছর যাবৎ কিন্তু কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নিতে এখনো দেখছি না। এটি ছিল গভীর করশ্রোতা একটি খাল ফলে পন্যবাহী নৌকা চলতো এখানে মানুষ জাল দিয়ে মাছ ধরতো ছিল অনেক জীববৈচিত্র্য‌। বর্তমানে পুরো খাল ময়লার স্তূপে ভরে গেছে, বেড়েছে মশা-মাছির উপদ্রব, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।’ 

খালটির বর্জ্য যদি দ্রুত পরিস্কার করে খনন করা না হয় তবে আসন্ন বর্ষায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে বৃহত্তর বাকলিয়ায়। চাক্তাইবাসী‌ সুঁইচগেটের সুফল ভোগ করাতো দূরের কথা মানুষ পানিবন্দি থাকবে এতে কোনো সন্দেহ নাই। আমরা নগরে চসিক ও সরকারের সব ধরনের টেক্স পরিশোধ করেও নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত।

এই বিষয়ে স্থানীয় ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়ার কাছে জানতে চায়লে তিনি জানান নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় এই খালের কাজের টেন্ডার হয়েছে শিঘ্রই কাজ শুরু হবে। খালে ময়লা আবর্জনার বিষয়ে আমাদের জনসাধারণের সচেতনতা জরুরি।আমরা যদি সচেতন হয়ে পরিবারের সদস্যদের সচেতন করি। নির্দিষ্ট ডাষ্টবিনে ময়লা আবর্জনা ফেলি তাহলে বর্জে খার ভরাট অনেকটাই কমে আসবে।নিজেরাই এর সুফল ভোগ করতে পারবো।

স্থানীয় এলাকাবাসী এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন জনস্বার্থে খালের বর্জ্য অপসারণ করে,দ্রুত খনন এবং খালের পাশে একটি ডাস্টবিন স্থাপন করে স্থানীয় এলাকাবাসীকে স্বস্তিতে বসবাস করার সুযোগ করে দিবেন।