spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসমাভাবিপ্রবি ছাত্রীদের মেসের বাথরুমে গোপনে ভিডিও ধারণের অভিযোগ

মাভাবিপ্রবি ছাত্রীদের মেসের বাথরুমে গোপনে ভিডিও ধারণের অভিযোগ

টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) পাশে একটি ছাত্রীদের মেসের বাথরুমে গোপনে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে। সরকারবাড়ি ছাত্রী মেস ভবনের মালিকের ছেলে তুহিন সরকার এর বিরুদ্ধে।

তুহিন গোপনে বাথরুমের দৃশ্য ধারণ করতো বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিষয়টি মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) প্রক্টর শাকিল মাহমুদ শাওনকে জানানোর পরও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রক্টর অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে প্রক্টর অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রক্টরের অপসারণ দাবিসহ মেস মালিকের ছেলেকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুনঃ বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ, ৩৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ

এর আগে সন্তোষ ঘোষপাড়ায় অবস্থিত সরকারবাড়ি ছাত্রী মেসের সামনে বিক্ষোভ করেন মাভাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা। পরে আজ রাত ৮টার দিকে বিভিন্ন দাবি উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

সরকারবাড়ি ছাত্রী মেসের শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৭ মে রাতে বাথরুমে গোসল করার সময় বাথরুমের জানালায় লাঠি জাতীয় কিছুর সঙ্গে ক্যামেরা দেখতে পান। মেস মালিকের ছেলে ছাদ থেকে বাথরুমের ভেন্টিলেটরে মোবাইল ক্যামেরা স্থাপন করে গোপনে মেয়েদের ভিডিও ধারণ করে। একপর্যায়ে মেসে থাকা এক শিক্ষার্থী ভিডিও করার দৃশ্য দেখে ফেলে। ক্যামেরা দেখে ওই শিক্ষার্থী চিৎকার করে অন্য মেয়েদের ডাকেন। পরে মেসের মেয়েদের নিয়ে ছাদে যান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। পরে ভবনের ছাদে গিয়ে দেখতে পান মেস মালিকের ছেলে তুহিন সরকার পানির ট্যাংকের আড়ালে লুকিয়ে আছে।

এ ছাড়া ছাদে লাঠির সঙ্গে দড়ি ও ক্লিপ জাতীয় কিছু দেখতে পান শিক্ষার্থীরা। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মেসে অবস্থানরত ছাত্রীরা। পরে এই ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাকিল মাহমুদ শাওনকে অবহিত করেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এই ঘটনায় প্রক্টর শিক্ষার্থীদের অসহযোগিতা ও অশোভন আচরণ করেন। পরে বাধ্য হয়ে বিচার চেয়ে শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাসে এবং বেশ কিছু দাবিতে ভিসি বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

এ সময় আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রক্টরের পদত্যাগ, সরকারবাড়ি ছাত্রী মেসের ঘটনার সমাধান এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ছাড়া জড়িত মেস মালিকের ছেলেকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে এবং প্রক্টরের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এই বিষয়ে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত প্রক্টর শাকিল মাহমুদ শাওনের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে মোবাইল ফোনে কোনো মন্তব্য করবো না।