
মুদ্রাস্ফীতি সব দেশের মতো বাংলাদেশেও হচ্ছে। একই কথা রিজার্ভেও। রিজার্ভ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কেননা, আপৎকালীন খাদ্য মজুত রয়েছে। এতবেশি আলোচনার কারণে আজ প্রায় সবাই রিজার্ভ নিয়ে কথা বলেন। এই সতর্কতা দেশের জন্য ভালো। করোনা, যুদ্ধ,আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি সব কিছু মিলিয়ে দেশের অর্থনীতির উপর চাপ আছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় গণভবনে ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়, যেটা গেল ১৫ বছরে প্রমাণিত হয়েছে। এরপরও শুনতে হয়, কথা বলার স্বাধীনতা নেই। কিন্তু সরকার তো কারও গলা টিপে ধরেনি?
আরও পড়ুনঃ গ্লোবাল নলেজ এর বিরুদ্ধে মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগ
তিনি আরও বলেন, বিজয় ও স্বাধীনতার চেতনা নস্যাৎ করতেই ২৫ আগস্টের ঘটনা ঘটানো হয়। তারপর থেকেই দেশটা শুধু পেছাতে থাকে। সরকার যে জনগণের জন্য কাজ করে, কেবল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই মানুষ এটা বুঝতে পারে।
গ্যাস বিক্রির চুক্তিতে রাজি হননি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শক্তিশালী (যুক্তরাষ্ট্র) দেশটি সেই সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে নেয়নি। গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় বসার মতো দৈনতায় ছিলাম না কখনও।
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশে এয়ার বেজ বানাতে দিলে, কারও কারও নির্বাচনে জিততে কোনো সমস্যা নেই- এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু রাজি হইনি আমি। বে অব বেঙ্গলে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ঘাঁটি বানাবে। ভারত মহাসাগরের এই শান্তিপূর্ণ জায়গাটার ওপর তাদের নজর। এখানে বেজ বানিয়ে তারা কোথায় হামলা করতে চায়? আমি এটা করতে দিচ্ছি না বলেই খারাপ। চক্রান্ত এখনও চলমান রয়েছে। তবে জনগণ সঙ্গে রয়েছে, তারাই সামনে চলার মূল শক্তি বলে গর্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিভিন্ন সংকট মোকাবেলা করেই তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। যতই মুরুব্বিদের ধরুক, বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস করলে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে,’ বলেন তিনি।
সমবায়ের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ধান-মাছ চাষ হচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, সেখানে ছয়বিঘা জমি দিয়েছি আমি। সুইজারল্যান্ডে যাচ্ছে এখন শরীয়তপুরের সবজি। ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে স্বাধীনতাবিরোধীদের চক্রান্ত অতিক্রম করেই এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।
সবসময় সাধারণ-নির্যাতিতদের পাশে আছেন বলে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গারা কবে ফেরত যাবে জানি না। প্রতিদিন সেখানে নতুন-নতুন শিশু জন্মাচ্ছে। অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ-সংঘাত করতে যাইনি আমরা। আলোচনা চালানো হচ্ছে। তবে মিয়ানমারের নিজেদেরই অবস্থা ভালো না।
উৎপাদনে কোনো সংকট নেই দেশে, তবে ইনফ্লেশন কমানোটা চ্যালেঞ্জ’ বলে মনে করেন জোটনেত্রী। তিনি বলেন, ভবিষ্যতের করণীয় ঠিক করতে আলোচনা হবে ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে।