
আলোকিত দর্পণ ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নতুন সংশোধিত রুটিন অনুযায়ী ১০ এপ্রিল শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে ১৩ মে পর্যন্ত।
প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষার মাধ্যমে এ বছরও পরীক্ষার সূচনা হয়েছে। শেষ হবে বাংলা দ্বিতীয় পত্র (আবশ্যিক) ও সহজ বাংলা দ্বিতীয় পত্রের মাধ্যমে।
এই বছর দেশের বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন, যা ২০২৪ সালের তুলনায় প্রায় এক লাখ কম। গত বছর পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। সারা দেশে এবার পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৩ হাজার ৭১৫টি কেন্দ্রে। এর মধ্যে ছাত্র ৯ লাখ ৬১ হাজার ২৩১ জন এবং ছাত্রী ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩৯ জন।
পরীক্ষার সময়সূচি:
- ১০ এপ্রিল: বাংলা প্রথম পত্র / সহজ বাংলা প্রথম পত্র
- ১৫ এপ্রিল: ইংরেজি প্রথম পত্র
- ১৭ এপ্রিল: ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র
- ২১ এপ্রিল: গণিত
- ২২ এপ্রিল: ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা
- ২৩ এপ্রিল: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
- ২৪ এপ্রিল: গার্হস্থ্যবিজ্ঞান, কৃষিশিক্ষা, সংগীত, আরবি, সংস্কৃত, পালি, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া, চারু ও কারুকলা
- ২৭ এপ্রিল: পদার্থবিজ্ঞান / বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা / ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং
- ২৯ এপ্রিল: রসায়ন / পৌরনীতি ও নাগরিকতা / ব্যবসায় উদ্যোগ
- ৩০ এপ্রিল: ভূগোল ও পরিবেশ
- ৪ মে: বিজ্ঞান / উচ্চতর গণিত
- ৬ মে: জীববিজ্ঞান / অর্থনীতি
- ৭ মে: হিসাববিজ্ঞান
- ৮ মে: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
- ১৩ মে: বাংলা দ্বিতীয় পত্র / সহজ বাংলা দ্বিতীয় পত্র
ব্যবহারিক পরীক্ষা চলবে ১৫ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত।
আরও পড়ুনঃ ভালুকায় ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যু
পরীক্ষা উপলক্ষে বোর্ডের নির্দেশনা:
১. পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হবে।
২. নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বহুনির্বাচনী ও সৃজনশীল/রচনামূলক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, দুই পরীক্ষার মাঝে কোনো বিরতি থাকবে না।
৩. প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিন দিন আগে সংগ্রহ করতে হবে।
৪. সৃজনশীল/রচনামূলক, বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পৃথকভাবে পাস করতে হবে।
৫. ভিন্ন বিষয়ে কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
৬. উত্তরপত্রে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড যথাযথভাবে লিখে OMR শীটে বৃত্ত ভরাট করতে হবে, কোনো অবস্থাতেই ভাঁজ করা যাবে না।
৭. পরীক্ষার্থীদের নিজেদের বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হবে না; আসন বিন্যাস স্থানান্তরের মাধ্যমে করা হয়েছে।
৮. সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে।
৯. কেন্দ্রে শুধু কেন্দ্রসচিব মোবাইল ফোন আনতে পারবেন, অন্য কেউ নয়।
১০. ফল প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে SMS এর মাধ্যমে।
শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। পরীক্ষার্থীদের সফলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রশাসনও রয়েছে প্রস্তুত।