spot_img

― Advertisement ―

spot_img

মাগুরায় ১০০ রাউন্ড গুলিসহ আটক ৫ জন

মাহিম সিদ্দিকি, মাগুরা প্রতিনিধিঃ মাগুরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চালিয়ে ১০০ রাউন্ড তাজা গুলি, একটি স্নাইপার বাইনোকুলারসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা...
প্রচ্ছদরাজনীতিমাগুরায় বাসদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও রুশ বিপ্লবের বার্ষিকী উদযাপন

মাগুরায় বাসদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও রুশ বিপ্লবের বার্ষিকী উদযাপন

মাহিম সিদ্দিকি, মাগুরা প্রতিনিধিঃ মাগুরায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ১০৭তম রুশ বিপ্লবের বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও লাল পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১১টায় সৈয়দ আতর আলী পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই আয়োজন হয়। সভাপতিত্ব করেন বাসদের মাগুরা জেলা শাখার আহ্বায়ক প্রকৌশলী শম্পা বসু।

আলোচনায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ। বক্তব্য রাখেন বাসদ কেন্দ্রীয় সদস্য শফিউর রহমান শফি, বাংলাদেশ জাসদের মাগুরা জেলা শাখার সভাপতি এটিএম মহব্বত আলী, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য কাজী নজরুল ইসলাম ফিরোজ, সিপিবি মাগুরা জেলা শাখার সভাপতি বীরেন বিশ্বাস এবং ঝিনাইদহ জেলা বাসদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আসাদুল ইসলাম আসাদ। সভাটি সঞ্চালনা করেন বাসদ মাগুরা জেলা শাখার সদস্য সচিব ভবতোষ বিশ্বাস জয়।

নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাম্য ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। তারা বলেন, ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ’৯০-এর সামরিক শাসনবিরোধী অভ্যুত্থানের চেতনা বাস্তবায়নে সমাজতান্ত্রিক সমাজ গঠনে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, দুর্নীতি, এবং শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে বর্তমান সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করেন।

রুশ বিপ্লবের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরে নেতারা বলেন, ১৯১৭ সালে মহামতি লেনিনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা শ্রমিক শ্রেণির প্রথম রাষ্ট্র সাম্য প্রতিষ্ঠার পথ দেখিয়েছে। আজকের দিনে সেই চেতনা ধারণ করে শোষণ ও বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণের জন্য শ্রমিক, কৃষক এবং সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

আরও পড়ুনঃ ভোলায় ১০০কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ, ব্যবসায়ীকে জরিমানা

আলোচনায় বিভিন্ন দাবিও উত্থাপিত হয়, যেমন—নিত্যপণ্যের দাম কমানো, কৃষকের ফসলের ন্যায্যমূল্য, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, শিক্ষা ও চিকিৎসার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ, মাগুরায় কৃষিভিত্তিক শিল্প কারখানা স্থাপন, এবং বন্ধ থাকা টেক্সটাইল মিল চালু করা।

আলোচনা সভার পর শহরে লাল পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচির মাধ্যমে শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।