
জনি শিকদার, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে বিএসএফের গুলি, লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে মো. লিটন মিয়া (২০) নামে একজন বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন।
আহত যুবক লিটন মিয়া আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী এলাকার মো. মোকছেদুল ইসলামের ছেলে। আহত অবস্থায় তিনি বিএসএফের হেফাজতে কুচবিহার জেলা সদরের এমজেএম নামে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী জানিয়েছেন।
সীমান্ত সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তের ৯২৩ নম্বর মেইন পিলার এলাকা দিয়ে রাত ৩টার দিকে ভারতীয় একদল গরু ব্যবসায়ীর সহযোগিতায় বাংলাদেশি ৪০-৫০ জন যুবক গরু পাচার করে আনার চেষ্টা করলে ভারতীয় জলপাইগুড়ি-৭৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বারথার ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা গুলি ছুড়ে।
এ সময় বিএসএফের গুলিতে মো. লিটন মিয়া (২০) নামের একজন বাংলাদেশি যুবক ঘটনাস্থলে আহত হন। পরে বিএসএফ তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় আটক করে নিয়ে যায়। তাকে কুচবিহার জেলা সদরের এমজেএম নামে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মো. মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে আহত যুবক লিটন মিয়াকে বিএসএফ কুচবিহারের এমজেএম নামে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছে। বর্তমানে তার শারীরিক পরিস্থিতি উন্নতির দিকে রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘মঙ্গলবার প্রথম প্রহর তথা রাত ৩টায় দিকে ৪০-৫০ জন গরু ব্যবসায়ী দূর্গাপুর সীমান্তে গেলে বিএসএফ তাদেরকে চলে যেতে বলে। এ সময় তারা উল্টো বিএসএফের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে বিএসএফ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়ে। এতে লিটন মিয়া নামে একজন বাংলাদেশি যুবক গুলিবিদ্ধ হন।’
আরও পডুনঃ পণ্য বর্জনের রাজনৈতিক আহ্বান গুরুত্ব পাবে না
উল্লেখ্য, এবারই প্রথম নয়, বন্ধু দেশ ভারতের বিএসএফ এর গুলিতে প্রতিবছর কেউ না কেউ মারা যায়। বছরভিত্তিক সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ২০০৯ সালে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের হাতে মারা যান ৬৬ জন বাংলাদেশি, ২০১০ সালে ৫৫ জন, ২০১১ ও ২০১২ সালে ২৪ জন করে, ২০১৩ সালে ১৮ জন, ২০১৪ সালে ২৪ জন, ২০১৫ সালে ৩৮ জন, ২০১৬ সালে ২৫ জন, ২০১৭ সালে ১৭ জন এবং ২০১৮ সালে ৩ জন মারা যান সীমান্তে।