spot_img

― Advertisement ―

spot_img

এইচএমপিভি ভাইরাস: কি, কাদের হয়, উপসর্গ ও বাঁচার উপায়

এইচএমপিভি (Human Metapneumovirus) হলো এক ধরনের শ্বাসতন্ত্রজনিত ভাইরাস যা মূলত শিশু, বয়স্ক মানুষ এবং দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতার ব্যক্তিদের উপর প্রভাব ফেলে। প্রথমবারের মতো ২০০১...
প্রচ্ছদফিচারনতুন এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি

নতুন এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি

মো তাসনিম ফেরদাউস রিফাত, কুবি প্রতিনিধি: ঝরানো পাতার দিন নতুন আগমনী বার্তা নিয়ে হাজির হয়। রুক্ষতা, শুষ্কতাকে পাশ কাটিয়ে উন্মোচন করে আমাদের নতুন গন্তব্য। দিন আসে দিন যায় তেমনই বছর আসে বছর যায়। হতাশা ও অপ্রাপ্তিকে পিছনে ফেলে নতুন সম্ভবনাকে নিয়ে হাজির হয় নতুন বছর।

মানুষের স্মৃতি-বিস্মৃতির বহমান ধারা সময়ের স্রোতে মিশে যায়। বিদায়ী বছরের হতাশা ও বঞ্চনাকে ছাপিয়ে মনকে প্রফুল্ল করে তোলে নতুন বছরের আগমনী বার্তা। শীতের পাতার মতো বছরের প্রতিটি দিন ঝরে যায়। সব বর্তমানই মিলিয়ে যায় কালের অতল গহ্বরে।

সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে জনজীবনেও লাগে পরিবর্তনের ছোঁয়া। মানুষ নতুন পরিকল্পনা নিয়ে তার আপন পথচলায় অগ্রসর হয়। ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টিয়ে অবচেতন মনে উচ্চারিত হয় ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’।

নতুন বছরের আগমনে মানুষ সবকিছু নতুনভাবে শুরু করতে চায়। নতুন বছর নিয়ে মানুষের আকাঙ্খা সবসময়ই তুঙ্গে। নতুন বছরে ভালো কিছুর প্রত্যাশায় মুখিয়ে থাকেন সবাই। নতুন বছরের ভাবনা ও পরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন মো তাসনিম ফেরদাউস রিফাত।

সাফল্যের যাত্রা শুরু হোক ক্ষুদ্র কিছু অভ্যাস থেকে

ছোট পদক্ষেপ গ্রহণ করা বা বড় লক্ষ্য না করে প্রতিদিন এক ঘণ্টা পড়াশোনা বা নতুন বছরে যে কোনো ছোট নতুন অভ্যাস গড়ে তুললে ফলপ্রসূ হবে। নতুন বছরে আমাদের স্বাস্থ্য অগ্রাধিকার দেয়া উচিত নিয়মিত ব্যায়াম, ঘুম এবং মানসিক বিশ্রামে মনোযোগ দেয়া দকরার। সেই সাথে বিগত বছরগুলোর ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে, ব্যর্থতা বিশ্লেষণ করে উন্নতির দিকে ধাবিত হওয়া দরকার। ডিজিটাল দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রযুক্তি ও সময় ব্যবস্থাপনার কৌশল অবলম্বন করা উচিত। একাডেমিকের বাইরে আমাদের নতুন কিছু শেখা বা সৃজনশীল কাজে অংশ নেয়া দরকার। আমাদের এই ছোট ছোট পদক্ষেপেই বড় সাফল্যের ভিত্তি তৈরি হয়।

আতিশা হক
ফোকলোর , রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

পুরনো সব ভুল-ত্রুটি মুছে ফেলে নতুন করে শুরু করতে চাই

নতুন বছর সবসময়ই আনন্দ এনে দেয়। পুরনো সব ভুল-ত্রুটি মুছে ফেলে আমরা আবার নতুন করে সব শুরু করতে চাই, স্বপ্ন দেখতে চাই।বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবার পর প্রথমেই আমাদের যা হয়, আমরা কোনোকিছু কুলিয়ে উঠতে পারি না। নতুন বছরে প্রত্যাশা একটি রুটিন মাফিক জীবন, যেখানে সব কাজ সময় মত শেষ হবে এবং নিজের যত্ন নেয়া হবে। বাবা-মায়ের প্রতি আরেকটু যত্নবান হবো। নিজের মানসিক শান্তির প্রতি যত্নবান হবো। সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ রেখে সকল কথায় ও কাজে সৎ থাকার চেষ্টা করবো।

রুবাইয়াত তাবাসসুম
আইন বিভাগ , চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে যাওয়া

নতুন বছর সবসময়ই নতুন কিছু বয়ে আনে, নতুন স্নপ্নের দিশা দেখায়। পুরনো সব ভুল-ত্রুটি মুছে ফেলে আমরা আবার নতুন করে সব শুরু করতে চাই, নতুন স্বপ্ন দেখতে চাই। নতুন বছর শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ ও সম্ভাবনার দরজা খুলে দেয়। নতুন বছরে নিজেদের লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে যাওয়া এবং অর্জনের জন্য মনোযোগী হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি মনে করি পড়াশোনার পাশাপাশি মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার দিকে খেয়াল রাখা, প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার এবং বন্ধু ও শিক্ষকদের সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে আমরা সবাই একটি সুন্দর ও সফল বছর গড়ে তুলতে পারি।

উম্মে হাবিবা মৌ
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে হবে

দেখতে দেখতে শেষ হতে যাচ্ছে আরও একটি বছর। আমাদেরকে সাদরে বরণ করে নিতে হবে নতুন বছরকে। নতুন বছর মানে নতুন প্রত্যাশা।নতুন বছর যতটা আকর্ষণীয় ততটা আশা-আকাঙ্খায় ভরপুর। অতীতের সকল ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ২০২৫ সালে নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে আমাদের। পুরোনো বছরে আমাদের হাজারো তৃপ্তি, ব্যর্থতা, আসা-আকাঙ্খা, চাওয়া-পাওয়া ছিল। ফেলে আসা দিনগুলোতে নিজের অপূর্ণতার সাধ পূর্ণতা দেওয়ার জন্য নতুন বছরে ভুল শুধরে এগিয়ে যাওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত হবে। পুরোনো সব গ্লানি মুছে নতুনভাবে শুরু হোক জীবনের প্রতিটি অধ্যায়। নতুন বছর শুরু হোক সমৃদ্ধি আর কল্যাণের ছোঁয়ায়। নতুন বছরে প্রতিহিংসা দূর হোক, সবার নতুন স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন হোক, এ প্রত্যাশাই থাকবে নতুন বছরে।সবাইকে জানাই নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

নাঈমুর রহমান
সমাজকর্ম বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও পড়ুনঃ ইবিতে হলে প্রবেশের নির্দেশনা ছুটিকালীন সময়ের জন্য, প্রভোস্ট কাউন্সিল সভাপতি

নতুন এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি

বাংলাদেশের কম বেশি প্রতিটি সেক্টর-ই বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। অনিয়ম, দূর্নীতি আর বৈষম্যে দেখে দেখে বড় হয়েছি। এবছর শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা ও হাজারো প্রাণের বিনিময়ে দেশ পুনর্গঠনের এক সুবর্ণ সুযোগ আমরা হাতে পেয়েছি। নতুন বছরে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশকে বাস্তবে রুপান্তরিত করতে চাই। এক্ষেত্রে সকল দল, মত, জাতি, গোষ্ঠী নির্বিশেষে আমাদের এক হয়ে কাজ করে যেতে হবে। একতা নষ্ট হয়ে গেলে এ পরিবর্তন প্রায় অসম্ভব। আমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে এই পরিবর্তন আনার জন্য কাজ করতে পারি। যেকোনো অনিয়ম, দুর্নীতি বা বৈষম্য দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে তার বিরোধিতা করতে হবে। নিজে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অন্যদেরও এই বিষয়ে সচেতন করতে হবে। আমরা চাই একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন, যেখানে থাকবে সকলের সমান অধিকার। আমরা চাই একটি দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ, যেখানে কাউকে অন্যের কাছে হাত পাততে হবে নাহ। প্রত্যেকেই আত্মমর্যাদা নিয়ে বাস করবে এই বাংলাদেশে।

সফিকুল ইসলাম,
অর্থনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।