spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নেতৃত্বে ন্যাশনস লিগ শিরোপা পর্তুগালের হাতে

স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে যুক্ত হলো আরও একটি গৌরবময় অধ্যায়। ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চ উয়েফা ন্যাশনস লিগে স্পেনকে রুদ্ধশ্বাস এক ফাইনালে হারিয়ে শিরোপা...
প্রচ্ছদজাতীয়ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও জোরদারে আগ্রহী ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট

ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও জোরদারে আগ্রহী ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান সহযোগিতা আরও জোরদার করতে নতুন পথ খুঁজে বের করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা এক চিঠিতে তিনি সম্ভাব্য সমন্বিত অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির কথা উল্লেখ করেছেন।

১৪ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো চিঠিতে উরসুলা ভন ডার লিয়েন বাংলাদেশের পরিস্থিতি ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ার প্রশংসা করেন। তিনি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ফাঁকে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার মতামতের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্কার প্রক্রিয়াকে সমর্থন করতে প্রস্তুত। এটি গণতান্ত্রিক নীতি, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের দিকে পরিচালিত হবে।

তিনি আরও বলেন, “ইইউ টেকসই উন্নয়ন, সবুজ রূপান্তর, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং আর্থিক ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়।”

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট আরও জানান, গ্লোবাল গেটওয়ের অধীনে রেলপথ, জল সম্পদ, জলবায়ু অভিযোজন, স্বাস্থ্য, ডিজিটালাইজেশন ও এনার্জি খাতে বিনিয়োগের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। ইইউ এসব খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আগ্রহী।

আরও পড়ুনঃ কানাডার ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত করার অনুরোধ জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আমরা সেক্টরাল অংশীদারদের সঙ্গে নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো।”

ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে নিয়মিত সমন্বয় সভা আয়োজন এবং নতুন কৌশলগত সংলাপ শুরু করার প্রতিশ্রুতি দেন উরসুলা ভন ডার লিয়েন।

প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমি বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউর অংশীদারত্ব জোরদারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ভবিষ্যতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে আগ্রহী।”

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্টের এই চিঠি ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।