তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আট বছরের শিশু আছিয়ার গায়েবানা জানাজা ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বরে এই কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস.এম. সুইট, সহ-সমন্বয়ক তানভীর মণ্ডল, গোলাম রব্বানী হাসানুল বান্না, ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাফিসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী বলেন, “আজ আমরা বুকভরা কষ্ট নিয়ে দাঁড়িয়েছি। আমাদের বোন আছিয়া এক নরপশুর নির্মম লালসার শিকার হয়েছে। আমরা তার বিচারের দাবিতে একত্রিত হয়েছি। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে যে, গত পাঁচ বছরে ছয় হাজার নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে এবং চলতি বছরের দুই মাসেই ১০৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত কোনো ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে বলে মনে করি না। আমরা আছিয়া ও অন্যান্য ধর্ষণের ঘটনার দ্রুত বিচার চাই। প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে ইতিহাস সৃষ্টি করতে হবে, যাতে কেউ আর এমন নৃশংস অপরাধ করতে সাহস না পায়। যদি সরকার ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ছাত্র জনতা আবার মাঠে নামবে।”
আরও পড়ুনঃ ইবির প্রশাসনিক দুই পদে রদবদল
সমন্বয়ক এস.এম. সুইট বলেন, “আজ আমরা দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে এখানে দাঁড়িয়েছি। বিগত স্বৈরাচারী সরকারগুলোর আমলে হাজার হাজার ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু বিচার হয়নি। আমরা দেখেছি কিভাবে তনুকে হত্যা করা হয়েছে, বসুন্ধরার আনভীরের হাতে মুনিয়া হত্যার ঘটনাও দেখেছি। সেইসব ঘটনার কোনো বিচার হয়নি বলেই আজকের মতো ঘটনা ঘটছে। আশা করি, সরকার এই ঘটনার যথাযথ বিচার করবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি বাংলাদেশে আর থাকতে পারে না। আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবো এবং দেশের সব ধরনের অপরাধ প্রতিহত করতে বদ্ধপরিকর।”
প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনের পথে যাবেন।