spot_img

― Advertisement ―

spot_img

আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখলের চেষ্টা, চন্দনাইশে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দক্ষিণ জোয়ারা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখলের প্রস্তুতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায়...
প্রচ্ছদজাতীয়মনোরেলের মাধ্যমে চট্টগ্রাম হবে দক্ষিণ এশিয়ার গেটওয়ে: মেয়র ডা. শাহাদাত

মনোরেলের মাধ্যমে চট্টগ্রাম হবে দক্ষিণ এশিয়ার গেটওয়ে: মেয়র ডা. শাহাদাত

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম নগরীর গণপরিবহন ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে ‘মনোরেল প্রকল্প’ বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

রবিবার (১ জুন) নগরীতে মনোরেল চালুর লক্ষ্যে আয়োজিত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “এই মনোরেল শুধু যানজট নিরসনের নয়, চট্টগ্রামকে একটি পরিবেশবান্ধব, পর্যটন ও ব্যবসাবান্ধব আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলবে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার গেটওয়ে হিসেবেও চট্টগ্রামের অবস্থানকে সুদৃঢ় করবে।”

মেয়র জানান, প্রায় ৫৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই মনোরেল প্রকল্পে ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বিদেশি প্রতিষ্ঠান ওরাসকম কনস্ট্রাকশন এবং আরব কন্ট্রাক্টরস। বিনিয়োগ সম্পূর্ণভাবেই হবে প্রাইভেট ফান্ড থেকে এবং এতে চসিকের কোনো আর্থিক দায় থাকবে না বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “চট্টগ্রামকে ওয়ান সিটি, টু টাউন কাঠামোয় রূপান্তরের লক্ষ্য রয়েছে আমাদের। পর্যটন ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এই মনোরেল প্রকল্প নগর পরিকল্পনায় একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। আমরা চট্টগ্রাম বিমানবন্দরকেও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করছি, কারণ এটি উন্নত পরিবহন ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ।”

অনুষ্ঠানে প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন আরব কন্ট্রাক্টরস ও ওরাসকম পেনিনসুলা কনসোর্টিয়ামের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ কাউসার আলম চৌধুরী।

তিনি জানান, মনোরেল প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (PPP) মডেলে বাস্তবায়ন হবে এবং এতে অর্থায়ন করবে NAS ইনভেস্টমেন্ট এবং ন্যাশনাল ব্যাংক অব ইজিপ্ট।

এসময় তিনটি সম্ভাব্য রুটও ঘোষণা করা হয়:

লাইন ১ (২৬.৫ কিমি): কালুরঘাট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত – বহদ্দারহাট, চকবাজার, লালখান বাজার, দেওয়ানহাট ও পতেঙ্গা হয়ে।

লাইন ২ (১৩.৫ কিমি): সিটি গেট থেকে শহীদ বাশিরুজ্জামান স্কয়ার – এ.কে. খান, নিমতলী, সদরঘাট ও ফিরিঙ্গি বাজার হয়ে।

লাইন ৩ (১৪.৫ কিমি): অক্সিজেন থেকে ফিরিঙ্গি বাজার – মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, আন্দরকিল্লা ও কোতোয়ালি হয়ে।

তিনি বলেন, “মনোরেল থেকে রাজস্ব আসবে শুধু টিকিট বিক্রি নয়, বরং স্টেশনের দোকানপাট, বিজ্ঞাপন, আশপাশের জমির মূল্যবৃদ্ধি প্রভৃতি মাধ্যমেও। উন্নত গণপরিবহন ব্যবস্থা একটি শহরের সামগ্রিক অর্থনীতিতে ৫–৭ গুণ রিটার্ন আনতে সক্ষম।”

আরও পড়ুনঃ ভালুকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৩৮৮ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সরোয়ার কামাল, গ্রেটার চিটাগাং ইকোনমিক ফোরামের সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী, সদস্য সচিব নাজির শাহীনসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রামের শহুরে যাতায়াত ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে এবং নগরীর আধুনিকায়নে নতুন যুগের সূচনা ঘটবে।