
চার ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দুই শতাধিক নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি। গত ৮ মে অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের নির্বাচনে বিএনপির মাত্র সাত জন চেয়ারম্যান পদে জয়ী হওয়ায় তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া অনেকে দুকূল হারানোর ভয়ে উপজেলা নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।
বিএনপির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ২৯ মে অনুষ্ঠাতব্য ময়মনসিংহের ফুলাবাড়ীয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন শাহ মো. আলমগীর। সোমবার (১৩ মে) নির্বাচন কমিশনে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে চিঠি দেন তিনি।
এর আগে ৩ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয় ফুলাবাড়ীয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহ আলমগীরকে।
আরও পড়ুনঃ বিএনপি নেতা আলাল এর হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, গতকাল (সোমবার) প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বহিষ্কৃত ফুলাবাড়ীয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহ আলমগীর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, প্রথম ধাপের ভোটে অনেকে আশা করেছিল জয়ী হবে। কিন্তু ১৪৩টি উপজেলার মধ্যে মাত্র ৭ জায়গায় চেয়ারম্যান পদে বহিষ্কৃত নেতারা জয়ী হয়েছেন। যার ফলে পরের তিন ধাপে যেসব নেতা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ভোটে প্রার্থী হয়েছেন, তারা এখন দুকূল হারানোর ভয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, সঠিক সংখ্যা জানা নেই। তবে এখন পর্যন্ত ৫-৭ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের খবর পেয়েছি আমরা।