spot_img

― Advertisement ―

spot_img

কালীগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সহযোগী সংগঠনের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

মোঃ মুক্তাদির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ গাজীপুরের কালীগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উপজেলা শাখা ও এর সকল সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (৮...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসকোটা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে রাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

কোটা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে রাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

রাবি প্রতিনিধি : হাইকোর্ট কর্তৃক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে  কোটা পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে  মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বেলা ১১ টায়  বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচিতে বক্তারা সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা বাতিলের দাবি জানান।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা দিয়ে কামলা নয় মেধা দিয়ে আমলা চাই’, ‘সারা বাংলার খবর দে কোটা প্রথার কবর দে’, ‘বৈষম্য নিপাত যাক মেধাবীরা মুক্তি পাক’,’সকল কোটা বাতিল হোক যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি হোক’,’আঠারোর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’,’বঙ্গবন্ধুর ওই সময় ঠাই নাই’,’মেধাভিত্তিক নিয়োগ চাই প্রতিবন্ধী ছাড়া কোটা নাই’ প্রভৃত্তি সম্মিলিত প্লাকার্ড প্রদর্শন করেন।

পপুলেশন সাইন্স বিভাগের মাস্টার্স এর শিক্ষার্থী আমানুল্লা আমান বলেন, ২০১৮ সালে ঢাবি, রাবি, চবি সহ সারা বাংলায় কোটার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের গণআন্দোলনের প্রেক্ষিতে সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, যদি সোনার বাংলা গড়তে হয় তাহলে কোটা প্রথা বিলুপ্ত করা হবে। কিন্তু একটি স্বার্থান্বেষী মহল হাইকোর্টে রিট করে আবারও কোটা ব্যহস্থা চালু করেছে। যা মুক্তিযু্দ্ধের চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক, এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। আমরা আমাদের বাবা মায়ের ধান বিক্রির টাকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছি।  আমাদের পিতামাতার স্বপ্নকে নিয়ে কোন ছেলে খেলা আমরা  কখনোই মানবোনা।

আরও পড়ুনঃ আমরা তো মায়ের দোয়া টিম হয়ে গেছি: সাকিব

আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সানজিদা বলেন, আমি একজন নারী হওয়ায় প্রথম শ্রেনীরর চাকরিতে আমার জন্য কোটা বরাদ্দ আছে, তবুও আমি এই কোটার বিরোধিতা করছি। কারণ আমার মধ্যে যদি মেধা-দক্ষতা থাকে তাহলে নিজ যোগ্যতায় আমি চাকরি অর্জন করতে পারব। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মেয়ের সে সক্ষমতা আছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোনো কোটার মাধ্যমে দেশ শাসনে আসেনি। তিনি নিজ যোগ্যতায় এখানে এসেছেন। এখানে আসার জন্য তার কোনো কোটার দরকার হয়নি। পাকিস্তান আমলের যে বৈষম্য মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের মুক্তিযোদ্ধরা শেষ করেছিলে সেই বৈষম্য যদি তাদের প্রজন্মের মাধ্যমে ফিরে আসে সেটা মেনে নেওয়া যায় না।

ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, আমি নিজে একজন শারীরিক অক্ষম ব্যক্তি, কিন্তু তবুও আমি এই কোটার বিরোধিতা করছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় ও কোটায় আমার বিষয় এসেছিলো।কিন্তু আমি কোটায় ভর্তি না হয়ে আমি সাধারণ মেধাতালিকায় ভর্তি হয়েছি। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নই, আমরা চাই তারা তাদের প্রকৃত সম্মান পাক। তবে আমরা চাইনা তাদের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থী বঞ্চিত হোক।

ইনফরমেশন সাইন্স এন্ড  লাইব্রেরি  ম্যানেজমেন্ট বিভাগের  শিক্ষার্থী নাইম বলেন,  প্রধানমন্ত্রীর নিকট আহ্বান সরকার  এমন কোন সিদ্ধান্ত নিবেন  না  যে সিদ্ধান্তে  সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যদি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করতে চান তাহলে তাদের স্বর্ণখচিত আবাসনের ব্যবস্থা করে দেন, তাদেরকে প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা সম্মানি দেন বাংলাদেশের কোন ছাত্র সমাজ তার বিরুদ্ধে কথা বলবে না। তবে ছাত্রসমাজ  সাধারণ শিক্ষার্থীর মেধার ক্ষেত্রে এ ধরনের কোটার  বৈষম্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তুলবে । বাংলাদেশ বৈষম্যের হাত থেকে মুক্তি পেতে ১৯৭১ সালে যে রক্ত দিয়েছিল কিন্তু  আজ ২০২৪ সালে এসে   বৈষম্যের স্বীকার হতে যাচ্ছে যা কোন সাধারণ শিক্ষার্থী  মেনে নিবে না। 

অর্থনীতি বিভাগের  শিক্ষার্থী এহসানুল মারুফের সঞ্চালনায় এ সময় বিভিন্ন বিভাগের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার (৫ জুন) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।