
তৌফিকুর রহমান তাহের, দিরাই-শাল্লা প্রতিনিধিঃ কর্মদক্ষতা আর শ্রেনী কক্ষে সুদক্ষভাবে পাঠদানের অবদান রাখায় সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুযোগ্য সহকারী শিক্ষক নিভারাণী দাস শাল্লা উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠশিক্ষক (মহিলা) নির্বাচিত হয়েছেন।
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৪ উপলক্ষে শাল্লা উপজেলা থেকে সহকারী শিক্ষক(মহিলা) নির্বাচন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদের মধ্যে থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে তিনি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।তিনি বলেন,আমি ০৩/০৬/২০০৩ সনে আংগারুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম যোগদান (শাল্লা সুনামগঞ্জ) করি। পরে একই উপজেলার কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগ দেই ২৭/০৬/২০১৮ইংতারিখ।আমার ব্যাক্তিগত জীবনে আমি দু’সন্তানের জননী,আমার স্বামী অসিতবরণ দাস ব্রজেন্দ্রগঞ্জ রামচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক।
উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক সহকারী শিক্ষক নিভারানী দাস এর শিক্ষাগত যোগ্যতা, শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা, বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ও নিষ্ঠা, সৃজনশীল প্রশ্নপত্র তৈরির দক্ষতা, সহযোগিতার প্রবণতা, চারিত্রিক দৃঢ়তা ও সততা, শৃঙ্খলাবোধ, সময়ানুবর্তিতা,বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে তাঁকে শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক হিসাবে নির্বাচিত করেন।
শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক হওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করে নিভারাণী দাস বলেন, উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ারএ অর্জন আমার একার নয়। এ অর্জন কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর সকলের।
আরও পড়ুনঃ নড়াইল পৌরসভার কাউন্সিলর জুয়েল গ্রেফতার
তিনি আরও বলেন, উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় অনেক ভালো লাগছে। আমি সব সময়ই চেয়েছি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য কাজ করতে। কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান বৃদ্ধিতে আমি সব সময়ই ইতিবাচক ছিলাম এবং থাকবো। শ্রেষ্ঠ এই সহকারী শিক্ষক নিভারাণী দাস ছোটবেলা থেকেই সমসাময়িক প্রবন্ধ,গল্প,গান,কবিতা লেখালিখির পাশাপাশি একজন ভাল সুনাম অর্জন করেন। শিক্ষক সুলভ আচরণের জন্য তার বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ,অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কাছে প্রিয় ও একজন আর্দশ শিক্ষক হিসাবে স্থান করে নিয়েছেন।
কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, এটা আমার বিদ্যালয়ের গর্ব। বিদ্যালয়ের সকল কাজে তার আগ্রহ, উদ্দীপনা, দায়িত্ববোধ আমাদেরকে মুগ্ধ করে। শিক্ষার্থীদের কাছে তিনি খুব জনপ্রিয়। যাচাই বাছা