মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ পরপর অয়েল ট্যাংকারে বিস্ফোরণ ঘটার কারণে জনমনে সন্দেহ জেগেছে এতে কোন নাশকতার লক্ষণ আছে কিনা সংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সিকিউরিটি এক্সপার্ট অয়েল ট্যাংকারে যারা কাজ করেছেন এবং বিএসসি’র প্রতিনিধিসহ ১০ জনের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম শেষে বলা যাবে কেন এ ঘটনা ঘটেছে।
৬অক্টোবর(রবিবার )চট্টগ্রামে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এবং পরিচালকসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় তেলবাহী দ্বিতীয় জাহাজে বিস্ফোরণে একজনের প্রাণহানি ঘটেছে। এর আগের বিস্ফোরণেও প্রাণহানি ঘটেছে যেটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। এরা খুবই দক্ষ কারিগর ছিলেন, তাদের অভাব পূরণ হবার নয়। তাদের দেখাশোনা করার দায়িত্ব বিএসসি এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নিয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, যেহেতু দুটো জাহাজ বিষ্ফোরণের কারণে অকেজো হয়ে গেছে তার বিকল্প হিসেবে অন্যান্য জাহাজের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে যাতে লাইটারিং জাহাজরে কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। আমি কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী এবং পোর্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে গিয়ে আগুন নিভিয়েছে এবং সেখানে আটকে পড়া ৪৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছে। নেভাল চিফ, বন্দর চেয়ারম্যান, কমান্ডার থেকে শুরু করে সবার সাথে আমার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল। ভোর সাড়ে চারটা পযর্ন্ত আমি তাদের সাথে যোগাযোগ রেখেছি। তারা আমাকে জানিয়েছে সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং একজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ কলেজ ছাত্র সোহানের মরদেহ দুই দিন পর উদ্ধার
তিনি আরো বলেন, বাঙালি উদ্যোক্তা যারা বিদেশে ব্যবসা করেন তারা জাহাজ এবং পাটে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছা পোষণ করেছেন। আমি বিদেশিদের আহ্বান জানায় তারা যেন আমাদের জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগ বাড়ায় এবং একসাথে কাজ করে এ শিল্পকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।
চীন থেকে জাহাজ ক্রয়ে দূর্নীতির অভিযোগ উঠছে বলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, মন্ত্রণালয়ের একটা টিম জাহাজ ক্রয়ের বিষয় নিয়ে কাজ করছে। আগের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জাহাজের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু আমরা নেগোসিয়েশনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তারা যে দাম নির্ধারণ করেছে সেটা থেকে কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। জাহাজ আমাদের প্রয়োজন তাই আমরা যাতে সেগুলো কিনতে পারি সেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। জাহাজ ক্রয়ের ব্যাপারে দূর্নীতির যে প্রশ্নগুলো উঠছে, মন্ত্রণালয় এসব ব্যাপারে দুদকের সাহায্য নিবে এবং দুদক তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।