spot_img

― Advertisement ―

spot_img

কালীগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সহযোগী সংগঠনের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

মোঃ মুক্তাদির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ গাজীপুরের কালীগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উপজেলা শাখা ও এর সকল সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (৮...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাস'বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তান গঠনেও নেতৃত্ব দিয়েছেন'

‘বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তান গঠনেও নেতৃত্ব দিয়েছেন’

আবু বকর সিদ্দিক, জাবি প্রতিনিধি :

বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তান গঠনেও নেতৃত্ব দিয়েছেন পালন করেছেন অগ্রনী ভূমিকা।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মদিন ও শিশু দিবস উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

রবিবার (১৭মার্চ) নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত হয়েছে।


দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে “বঙ্গবন্ধু : মানুষই যাঁর জীবনের আরাধনা” শিরোনামে শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু এই বাংলার স্বাধীনতার জন্য নয় বরং পাকিস্তান তৈরির সময়ও তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরে স্বাধীনতা সব জায়গায় তিনি ছিলেন অগ্রগামী। কখনো অন্যায় দেখে বঙ্গবন্ধু পিছিয়ে যান নি। যদি আজকে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে তার রাজনৈতিক আদর্শ তার দর্শন সম্পর্কে জানতে পারে তবে কখনো তারা পথভ্রষ্ট হবে না। অনৈতিক কাজ করতে পারবে না। মানুষকে ভালোবাসতে হয় কীভাবে তার আদর্শ দৃষ্টান্ত হলেন তিনি।

এসময় তিনি আরও যুক্ত করেন, ‘১৯৭৫ সালে এদেশের কিছু বিপদগামী মানুষ দেশকে পিছিয়ে দিতেই তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে শুধু বাংলার অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে না বরং তারা সমগ্র বিশ্বের তৃতীয় অর্থনৈতিক বিপ্লবকে বাধাগ্রস্ত করেছে। এই বিপদগামী মানুষেরা চীন, পাকিস্তান এবং আমেরিকার দোসর হিসেবে কাজ করছে। তবে আজ স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর বঙ্গবন্ধুকন্যা তাঁর আদর্শকে ধারণ করেই দেশকে এগিয়ে যেতে বদ্ধ পরিকর। সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করেই তিনি বাংলাদেশকে সোনার বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধ পরিকর।’

জাবির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড মো নূরুল আলম আলেচনার এক পর্যায়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশ কল্পনা করা যায় না। বঙ্গবন্ধুর জম্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না। আজকের এই দিনেই বঙ্গবন্ধু জন্ম নিয়েছিলেন বলেই আমরা আজকে বাংলায় কথা বলতে পারছি, বাংলাদেশকে পেয়েছি।

এসময় তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় বাংলাদেশের মানুষের ভাল চেয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন, শিক্ষকদের রেশনের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু তবুও কিছু ক্ষমতালোভী মানুষ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশকে পিছিয়ে দিয়েছিল। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে মূলত এই দেশকেই পিছিয়ে দিতে চেয়েছিল কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা পিতার অসমাপ্ত দায়িত্বকে কাধে নিয়ে একের পর এক মেগাপ্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে দেশকে উন্নত করার চেষ্টায় বদ্ধ পরিকর।

আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার প্রমুখ। উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার মো. আবু হাসান, আবাসিক হল সমূহের প্রভোস্ট, প্রক্টর, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক, অফিসার এবং কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানেরর অংশ হিসেবে বাদ আছর জাতির পিতার আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদসহ সকল মসজিদে দোয়া ও অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য দিনব্যাপী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে, সকাল ১০ টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলমের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়, যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রা উদ্বোধনকালে উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা আজকে এখানে দাড়িয়ে কথা বলতে পারছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে জন্য। দেশ স্বাধীন না হলে আমরা যারা কথা বলছি ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা করছি সেটি কখনোই সম্ভব হতো না। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম ও সংগ্রাম করেছেন। তিনি জীবনের দীর্ঘ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। মাত্র নয় মাসে তিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা। কিন্তু তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছর দেশের জনগণের জন্য কাজ করতে পেরেছেন। এই অল্প সময়ে দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন, যা অন্য কারো পক্ষেই সম্ভব ছিলো না। উপাচার্য আরও বলেন, জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ দিয়েছেন। এখন তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছেন, যা রূপকল্প ২০৪১ হিসেব গণ্য। এই স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করতে পারলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ হবে।

আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে উপাচার্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ‘বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে’ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এরপর বিভিন্ন ইনস্টিটিউট, শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন বিভাগ, আবাসিক হলের প্রভোস্ট, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ এবং পেশাজীবী বিভিন্ন সংগঠন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে।

শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর জাতির পিতার আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন সকালে শিশু কিশোরদের মধ্যে জাবি স্কুল ও কলেজে রচনা প্রতিযোগিতা এবং পুরাতন কলা ভবনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। উপাচার্য প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরন করেন।