
মোঃ তরিকুল মোল্লা, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পর্যটন নগরী কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসন ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি আল্টিমেটাম ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টসহ সমুদ্র সৈকত এলাকায় এলোমেলোভাবে অবইধো ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়, গতো রবিবার জেলা প্রশাসন মাইকিং করে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়।
আজকে সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরের মধ্যে অবৈধ দোকানপাট সরিয়ে না নিলে বিকেলে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর ঘোষণা দেয় জেলা প্রশাসন।
এই ঘোষণার প্রতিবাদে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ করে এবং উচ্ছেদ অভিযান বন্ধে পাল্টা আল্টিমেটাম দেয়। তারা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ চালানো হলে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দেন।
জেলা প্রশাসন ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এই পাল্টাপাল্টি আল্টিমেটামের কারণে পর্যটক ও স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবি, পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ মেনে নেবেন না তারা।
আগামী ১৫ নভেম্বর কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের গঙ্গাস্নান ও রাস পূর্ণিমা মেলা। এই রাস উৎসবকে ঘিরে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট ও সৈকত এলাকায় অবৈধ ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। বীচ এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানায় প্রশাসন।
এছাড়াও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসনের কাছে পুনর্বাসনের পর উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার অনুরোধ জানিয়েছেন।
ফিস ফ্রাই ব্যবসায়ীরা বলেন, “প্রতিবছর দুই থেকে তিনবার উচ্ছেদের শিকার হচ্ছি। বারবার পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছি। পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করা হলে আমরা পথে বসব।”
আরও পড়ুনঃ বশেমুরবিপ্রবি নবনিযুক্ত ভিসি-প্রোভিসির বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রুমী শরীফ বলেন, “কুয়াকাটা সৈকত এলাকায় প্রায় ৫০০ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আছেন। এদের আয়ের ওপর নির্ভর করে কয়েক হাজার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন। পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ হলে এসব মানুষ বেকার হয়ে পড়বেন।”
ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক)-এর সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, “পর্যটনের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য যদি উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় তবে অবশ্যই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করা উচিত।”
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “বীচ এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য জেলা প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি সম্পূর্ণভাবে জেলা প্রশাসনের বিষয়।”