
নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের অংশ হিসেবে দুই দেশের সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে শক্তিশালী নিরাপত্তা জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর) মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।
রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের সেনা সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির এবং বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামর-উল-হাসান অংশ নেন। আইএসপিআরের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে দুই দেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির বলেন, “দুই দেশের প্রতিরক্ষাবাহিনীর মধ্যকার সহযোগিতার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং পারস্পরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এ অঞ্চলের সীমান্ত সুরক্ষা আরও শক্তিশালী হবে।”
বাংলাদেশের পিএসও লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামর-উল-হাসান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুনঃ টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ: আসিফ নজরুলের ফেসবুক পোস্ট
বিগত ১৫ বছরে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নিম্নমুখী ছিল। তবে ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এবং অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে।
বর্তমানে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ছে। এরই অংশ হিসেবে পণ্য আমদানি-রপ্তানি ও বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল পুনরায় চালু হয়েছে।
দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে আলোচনা ও পারস্পরিক সহযোগিতা আগামী দিনে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি স্থিতিশীল এবং নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। নিরাপত্তা জোট গঠনের এই আলোচনা পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।