spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নেতৃত্বে ন্যাশনস লিগ শিরোপা পর্তুগালের হাতে

স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে যুক্ত হলো আরও একটি গৌরবময় অধ্যায়। ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চ উয়েফা ন্যাশনস লিগে স্পেনকে রুদ্ধশ্বাস এক ফাইনালে হারিয়ে শিরোপা...
প্রচ্ছদসারা বাংলাটিআর প্রকল্পে ব্যাপক লুটপাটের তথ্য ফাঁস, তদন্তের দাবি

টিআর প্রকল্পে ব্যাপক লুটপাটের তথ্য ফাঁস, তদন্তের দাবি

রফিকুল ইসলাম রফিক, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার “কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা)” টিআর প্রকল্পের নামে প্রায় ৪ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। কাগজে-কলমে প্রকল্প বাস্তবায়নের তথ্য থাকলেও বাস্তবে তার অস্তিত্ব নেই।

স্থানীয়রা দাবি করছেন, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মতিন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ও সরকারদলীয় কিছু নেতাকর্মী আত্মসাৎ করেছেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, উলিপুর নির্বাচনী এলাকায় তিন দফায় মোট ৩ কোটি ৭৯ লাখ ৮৩ হাজার ৪৫২ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রথম পর্যায়ে: ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, ৩৪টি প্রকল্পে বিভাজন। দ্বিতীয় পর্যায়ে: ১ কোটি ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩৩৩ টাকা, ৪৬টি প্রকল্প নির্ধারণ। তৃতীয় পর্যায়ে: ১ কোটি ৩০ লাখ ১১৯ টাকা, ১৮টি প্রকল্পে বরাদ্দ। কোথায় গেল এত টাকা? সরেজমিনে দেখা গেছে, অধিকাংশ প্রকল্পে কাজের চিহ্নও নেই।

তবকপুর ইউনিয়নে উমানন্দ বাজার থেকে রেজাউল মহরীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার জন্য বরাদ্দ ৫ লাখ টাকা। একই রাস্তায় নতুন নামে আরও ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে মোট ১০ লাখ টাকা লোপাট করা হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান গোলাম রসুল জানান, এমপির পিএস খোকন তাকে মাত্র ৩ হাজার টাকা দিয়েছেন।

গুনাইগাছ ইউনিয়নে মজিবর মাওলানার বাড়ি থেকে সোনারপাড়া পর্যন্ত রাস্তার জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, শ্রমিক দিয়ে সামান্য মাটি কেটে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। হাতিয়া ইউনিয়নে কদমতলা থেকে কেস্টোর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও প্রকল্পের কোনো বাস্তবায়ন হয়নি।

উলিপুরের দুর্গাপুর ইউনিয়ন বরাদ্দ পায়নি। স্থানীয় চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সাঈদ জানান, “এমপির শর্ত মেনে না নেওয়ায় আমার ইউনিয়ন কোনো প্রকল্প পায়নি।”

আরও পড়ুনঃ ইবিতে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত

এক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, “আমাকে ১০ লাখ টাকার বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে শর্ত ছিল—৬০% এমপি, ১৫% অফিস এবং মাত্র ২৫% টাকার কাজ করলেই হবে। আমি এই দুর্নীতিতে জড়িত হতে চাইনি।”

গত ৫ আগস্টের পর থেকে সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মতিন পলাতক। তার ব্যক্তিগত নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে এবং তার পিএস খোকনও কোনো যোগাযোগ করেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা বলেন, “আমি নতুন এসেছি, কিছু বলতে পারছি না।” একই কথা জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফিজানুর রহমান।

সচেতন নাগরিকরা বলছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। কারণ, এম এ মতিনের সময়কালে নেওয়া প্রায় সব প্রকল্পেই এভাবে লুটপাট হয়েছে। এখনই তদন্ত করা না হলে আরও অর্থ লোপাট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।