
বাংলাদেশে পাসপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। এখন থেকে পাসপোর্ট পেতে নাগরিকদের আর পুলিশের ক্লিয়ারেন্স লাগবে না।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “পাসপোর্ট পাওয়া একজন নাগরিকের অধিকার। আমি চোর নাকি ডাকাত, সেটা পুলিশ আলাদাভাবে বিচার করবে। আমার জন্ম সনদ নিতে কোনো পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগেনি, এনআইডি পেতেও লাগেনি। তাহলে পাসপোর্টের জন্য আলাদা ভেরিফিকেশন কেন?” তিনি আরও বলেন, “এখন থেকে নাগরিকরা সহজে ও দ্রুত পাসপোর্ট পাবেন।”
এর আগে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন পাসপোর্টে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া বাতিলের সুপারিশ করেছিল। কমিশন উল্লেখ করে, এই প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ ও অপ্রয়োজনীয় এবং অনেক সময় নাগরিক হয়রানির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুনঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের বৈঠক
পাসপোর্টে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিলের ফলে নাগরিকদের পাসপোর্ট পাওয়া দ্রুত ও সহজ হবে। অনাকাঙ্ক্ষিত দালালচক্র ও হয়রানি কমবে। বিদেশগমনের ক্ষেত্রে মানুষ আরও সুবিধা পাবেন। প্রশাসনিক ব্যয় ও সময় সাশ্রয় হবে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশের নাগরিকরা আরও সহজে ও স্বল্প সময়ে পাসপোর্ট পেতে পারবেন। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এটি প্রশাসনিক জটিলতা কমিয়ে আরও স্বচ্ছ ও গতিশীল প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে।