মোঃ সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার রত্না রায়ের বিরুদ্ধে বন্দিদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, কারাগারে থাকা কিছু বন্দির প্রতি তিনি বিশেষ সুবিধা প্রদান করছেন, অন্যদিকে নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর বন্দিদের প্রতি কঠোর আচরণ করা হচ্ছে। এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
কারাগারের অভ্যন্তরীণ সূত্র ও জামিনে মুক্তি পাওয়া কিছু ব্যক্তির বরাতে জানা যায়, বন্দিদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে টাকা আদায়, খাবারের নিম্নমান বজায় রাখা এবং বিশেষ বন্দিদের জন্য আলাদা সুবিধার ব্যবস্থা করার অভিযোগ রয়েছে। কারাগারে মাদক প্রবেশের সুযোগ দেওয়া এবং নির্দিষ্ট কিছু রাজবন্দিকে নানাভাবে হয়রানি করার কথাও বলা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি, প্রিজন্স) মো. কামাল হোসেন বলেন, “আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে, এসব অভিযোগ নিয়ে বক্তব্য জানতে জেল সুপার রত্না রায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি এবং কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।
সূত্র জানায়, অতীতে কাশিমপুর কারাগার, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার ও রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্ব পালনকালে রত্না রায়ের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছিল। বিশেষ করে, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বিশেষ সুবিধা প্রদান ও অনিয়মের কারণে তার নাম একাধিকবার আলোচনায় এসেছে।
আরও পড়ুনঃ রামগঞ্জে অগ্নি নির্বাপণ মহড়া অনুষ্ঠিত
রাজশাহীর সুশীল সমাজের অনেকেই দাবি করছেন, জেল প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে এই ধরনের অভিযোগের দ্রুত তদন্ত ও যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি।
কারা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে চলমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, যদি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
এখন দেখার বিষয়, তদন্ত কতটা নিরপেক্ষ হয় এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে কি ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।