spot_img

― Advertisement ―

spot_img

পাঁচবিবিতে ঈদে অনন্য দৃষ্টান্ত: ২ হাজার পরিবারে মাংস বিতরণ ছাত্রনেতা শামীমের

আল আমিন, জয়পুরহাট প্রতিনিধি: ঈদুল আজহার ত্যাগ ও মানবিকতার চেতনা বাস্তবে রূপ দিতে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ব্যতিক্রমী এক উদাহরণ স্থাপন করেছেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা শামীম...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসগবিতে বিএমবির এক অন্যরকম 'চড়ুইভাতি'

গবিতে বিএমবির এক অন্যরকম ‘চড়ুইভাতি’

শরিফুল গণি উসমানী, নিজস্ব প্রতিনিধি: দিনটা ছিল বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি), রোদ্রোজ্জ্বল পরিবেশে কিছু শিক্ষার্থীকে অত্যন্ত ব্যস্ত দেখা গেল। তাদের এই তৎপরতার কারণ ছিল  ‘চড়ুইভাতি’। এদিন একটি অন্যরকম অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছে গণ বিশ্ববিদ্যালয় এর বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগ।

বিভাগের নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীরা ‘চড়ুইভাতি’ আয়োজন এর মাধ্যমে একে অন্যের সঙ্গে পরিচয় ও ভাতৃত্ব বন্ধনের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে এত সুন্দর একটি আয়োজন করা সম্ভব হয়েছিল।

বিভিন্ন বিভাগের চড়ুইভাতি দেখার অভিজ্ঞতা থাকলেও বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের আয়োজনটি ছিল সর্বোৎকৃষ্ট এবং সবার অংশগ্রহণ মুলক। বিভাগের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একত্রে বসে গল্পগুজব ও সঙ্গীতচর্চার মধুর মুহূর্তগুলি ছিল যেন স্বপ্নময়।

এই সকল আয়োজনের সূচনা কিন্তু আজ নয় আরো আগে থেকে শুরু হয়েছিল। ‘চড়ুইভাতি’ আয়োজনের শুরুতেই পরিকল্পনা করতে হয় রান্নার বিষয়ে। কি কি রান্না হবে, খরচ কত হবে সব আলোচনা করে সবার জন্য চাদা নির্ধারণ করতে হয়। এরপর আসে কঠিন কাজ, সবার থেকে চাদা তোলা। যা মোটেও সহজ কাজ নয় এই কাজ সম্পন্ন করতে ক্লাস রিপ্রেজেনটেটিবসরা খুব পরিশ্রম করেছে এরাই সকল আয়োজনের মুল ভুমিকা পালন করেন।

আরও পড়ুনঃ ‘সত্যের কলমে একুশের প্রতিচ্ছবি’ দেয়ালিকা উন্মোচন

টাকা তোলা শেষ হলে রান্নার কাজে নিয়োজিত শিক্ষার্থীরা বাজারের কাজ সম্পন্ন করেন এখানে বিভাগের শিক্ষকরাও অংশগ্রহণ করেন। বাজার শেষে সিনিয়র জুনিয়র সবাই একসাথে মিলে রান্নার প্রস্তুতি শুরু করেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সবার ব্যস্ততা লক্ষণীয় বিশেষ করে রান্নার দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীদের। সকাল থেকেই একদিকে রান্না শুরু হয়ে যায় অন্যদিকে সবাই বিভিন্ন আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে থাকে এবং পাশাপাশি চলে অন্তঃ বিভাগীয় ক্রিকেটের ফাইনাল ম্যাচ। ছবি তোলার জন্য বিভিন্ন ফ্রেন্ড ও ফেস্টুন বানিয়ে নিয়ে আসে নবীন শিক্ষার্থীরা।

ধীরে ধীরে সকল শিক্ষার্থী চলে আসে একই সাথে বিভাগের শিক্ষকগণও যুক্ত হয়। আয়োজনে ছিল বিভাগের ১২ থেকে ২০ তম ব্যাচের সকল শিক্ষার্থী। সবাই মিলে একসাথে গান ও বিভিন্ন খেলায় মেতে উঠেন। সাংস্কৃতিক পর্ব ও বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করেন শিক্ষার্থীরা এবং বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদানের মধ্যদিয়ে দিনব্যাপী আয়োজন সম্পন্ন হয়।